নতুন সিলেবাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে কার প্ররোচনায়
পিবিসি নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেছেন, ‘নতুন সিলেবাস বা পাঠ্যক্রম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা করা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন হলো, কার প্ররোচনায় করা হচ্ছে? তা জানা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার নামে আমরা অশিক্ষা ও কুশিক্ষা গ্রহণ করছি। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে বাংলাদেশের পরিণতি কী হবে! সরকার জাতিকে অশিক্ষা-কুশিক্ষা দিয়ে দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’ রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা : সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক ফোরাম।
ড. মঈন খান বলেন, ‘প্রতিটি দেশে একটা নিজস্ব চিন্তাধারা, ধর্ম, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি থাকে। যদি তার পরিপন্থি কোনো কিছু সেই দেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, সেটা ভালো না। এখন সেটাই হচ্ছে আমাদের ওপর। শুধু শিক্ষকসমাজ, সুধী সমাজ নয়, প্রত্যেক সাধারণ মানুষকে এই শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আদিম সমাজে হাজার বছর আগে মানুষ যেভাবে বসবাস করত আর আজকের সভ্য সমাজে যেভাবে বসবাস করে— এ দুইয়ের মধ্য যে ব্যবধান, তা-ই শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষা মানুষকে পরিবর্তিত করেছে। জঙ্গলে বসবাস করা আদিম মানুষকে আজকের সভ্য সমাজে নিয়ে এসেছে— এটাই শিক্ষার মূল কথা। আজকে সরকার কোন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন করেছে, সেটা প্রত্যেক নাগরিকের প্রশ্ন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় এক হাজারটির মধ্যে আমাদের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। কিন্তু প্রথম ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ৫০ থেকে ৭৫টি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকার। এর দ্বারা প্রমাণিত, আমেরিকা অর্থ ও শিক্ষা সবক্ষেত্রে শক্তিশালী।’
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. এহছানুল হক মিলন বলেন, ‘আমার কাছে আশ্চর্য লাগে এদেশের সরকারপ্রধান কথায় কথায় ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে তুলনা করেন। কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে কেন তারা তাদের অনুসরণ করেন না!’
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ কামরুল আহসান।
নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহিল মাসুদের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট পারভেজ হোসেনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- অধ্যাপক ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ, সাইফুর রহমান মিহির, এম জহির আলী, নেসার আহমেদ নান্নু, মোহাম্মাদ নুরুজ্জামান প্রমুখ।