যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ৫ থেকে ৮ জানুয়ারি তাদের ২০২০ সালের প্রথম জরুরি চিকিৎসা সেবাদাতা সেমিনার (এমএফআরএস) পরিচালনা করে। মহানগর পুলিশ, শিল্প পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, হাইওয়ে পুলিশ, অপরাধ তদন্ত বিভাগের ২৮ জন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন পুলিশ একাডেমির প্রশিক্ষকরা চার দিনের এই সেমিনারে অংশ নেন।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা হাতেকলমে অনুশীলনে অংশ নেন। তাদের প্রত্যেককে বাংলাদেশ থেকে সংগৃহীত উপকরণ সম্বলিত একটি জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসার কিট দেওয়া হয়। জরুরি ও সঙ্কটের পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারি সংস্থাগুলোর জরুরি সেবাদাতাদের সক্ষমতা জোরদার করার পাশাপাশি এ সেমিনারগুলো বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। এছাড়া সেমিনারটি যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সম্পর্ককেও প্রতিফলিত করে।
এ সপ্তাহের সেমিনারে এর আগের এমএফআরএস কোর্স সম্পন্ন করা মেহেদী হাসান ও সোহাগ মিয়া ‘প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষক’ উদ্যোগের অংশ হিসাবে সেমিনার পরিচালনায় সহায়তা করেন। এ উদ্যোগটির লক্ষ্য হচ্ছে নিজেদের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনীগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ২০১৬ সালের এমএফআরএস-এ অংশগ্রহণকারী মেহেদী হাসান বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির মৌলিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির একজন প্রশিক্ষক। তিনি আগে আটটি সেমিনারে সহকারি প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। আর ২০১৯ সালের সেমিনারে অংশ নেওয়া সোহাগ ঢাকার পুলিশ সদর দফতরে প্রশিক্ষণ ও ক্রীড়া বিভাগে কর্মরত।
২০১৪ সালে এমএফআরএস কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে সারা দেশ থেকে ৬০০ জনের বেশি জরুরি সেবাদানকারী এতে অংশ নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস শুধু ২০১৯ সালেই বাংলাদেশের আটটি বিভাগের চারটিতে এ সেমিনার করেছে। এতে পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এবং বর্ডার গার্ডস বাহিনীর ২০০ জনের বেশি সদস্যকে জরুরি সেবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এই জরুরি চিকিৎসা সেবাদাতা বিষয়ক সেমিনারটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা, সংলাপ এবং পারস্পরিক বোঝাপড়াকে এগিয়ে নেওয়া এবং একটি স্বাধীন ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে জোরদার অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গৃহীত অনেকগুলো উদ্যোগের অন্যতম।