ঢাকাস্থ মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্টুডেন্ট’স ওয়েব এর পিকনিকের বাস খাদে পড়ে আহত ৩৮, আশঙ্কাজনক ৫
কক্সবাজারের রামু উপজেলায় শিক্ষার্থীদের বহন করা একটি পিকনিকের বাস সেতুর রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে অন্তত ৩৮ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১৮জানুয়ারি ভোর ছয়টায় মেরংলোয়া রামু ল্যাবরেটরি স্কুলের পাশে লম্বা ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিকনিকে যাওয়ার জন্য ৩৮ জন শিক্ষার্থী ওই বাসে ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সকাল ছয়টার দিকে বাসটি রামু উপজেলার পুরাতন আরকান সড়কে লম্বা সেতু অতিক্রম করছিল। এ সময় একটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসটিতে থাকা ৩৮ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
আহতদের মধ্য ২৬ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন -আবির (২১), আতিক (২২), মোছাদ্দেক (২২) সোহান (২২), জাহিদ ইসলাম, জিয়াউল করিম, নাজমুল হুসাইন (২৫), গফুর (২৫), আল আমিন (২৬), ইউনুচ (২৪), তরিকুল ইসলাম (২৬), আব্দুর রউফ (২৫), আবু মুছা (২৮), মাহিম (২৭), রাজিব (২৭), বকতিয়ার (২৫), মন্জুরুল হুসাইন সাকিব (১৯), জুয়েল (২৭), নোমান (২৭), নাঈম হুসাইন (২২), ফয়সাল (৩১), মোশারফ হুসাইন (২৫), সাইফুল ইসলাম বাপ্পি (৩০), নিজাম (২৬), সাইফুল ইসলাম (২৭), হাসিব (১৯), সজল (২৬) নজরুল হক সাকিব (১৯)।
এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, আহতরা সবাই পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। বেশিরভাগই ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। এছাড়া ঢাকায় লেখাপড়া শেষ করা মির্জাগঞ্জের আরও কয়েকজনও ছিলেন।
ঢাকাস্থ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠনের ব্যানারে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে ওই বাসে থাকা আহত আবু মুছার আত্মীয় মারুফ জানান।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকনিকের বাস সেতুর রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে বাসটি খাদে পড়ে যেভাবে দুমড়ে মুচড়ে গেছে তাতে কোনো নিহতের ঘটনা ঘটেনি।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: শাহিন আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, আহত ৩৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। বাকি ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দুটি সংস্থার অ্যাাম্বুলেন্স যোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারমধ্যে গাড়ির হেলপার খোরশেদ (২০) এর অবস্থা আশঙ্কাজনক।