যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন সংগঠন ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়্যার ভেটার্নস ১৯৭১’
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়্যার ভেটার্নস ১৯৭১, ইউএসএ ইনক’র আত্মপ্রকাশ করেছে। এ উপলক্ষে গত ১৮ জানুয়ারী শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন এবং আগামী তিন বছরের (২০২০-২০২২) জন্য সংগনের কার্যকরী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়।
সিটির জ্যাকসন হাইটসের খবার বাড়ীর চায়নিজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ। তিনি তার বক্তব্যে বছরের যে কোন একটি দিনকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ ঘোষণা, মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা নির্দ্ধারণ, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি জাতীয় কমিটির মাধ্যমে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা (ডিজিএফআই) কর্তৃক তদন্তপূর্বক সংবিধানে মুক্তিযোদ্ধাদের স্থান দিয়ে একটি তালিকা প্রণয়ন সহ ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়। সেই সাথে দুর্বৃত্তদের কবল থেকে রাজনীতিকে মুক্ত করে বাংলাদেশকে দুর্নীতি মুক্ত করার পাশাপাশি ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রগতিশীল, আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী, গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে প্রবাসের মুক্তিযোদ্ধারাও নিয়োজিত থাকার সংকল্প ব্যক্ত করা হয়।
নবগঠিত এই সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ এবং সাধারণ সম্পাদক গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসাইন। সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয় যে, সংগঠনের নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তারা সবাই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী গেরিলা। সংবাদ সম্মেলনে মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, তার সাথে বাংলাদেশেও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সমন্বয় ঘটানোর পদক্ষেপ নেবে সংস্থাটি। মুক্তিযোদ্ধারাও যাতে মার্কিন প্রশাসনের কাছে থেকে যোগ্য সম্মান লাভে সক্ষম হয় তা নিয়েও মূলধারায় দেন-দরবার চালাবে।
সংগঠনটির নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তারা হলেন: সভাপতি- গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, সহ সভাপতি- শওকত আকবর রীচি, খোরশেদ আনোয়ার বাবলু, রুহুল আমিন ভূইয়া, মেজর (অব:) মঞ্জুর আহমেদ বীর প্রতীক, মেজর (অব:) এহসান, রেজাউল বারি, বিএম জাকির হোসেন হিরু ও সরদার আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক- ফারুক হোসাইন, সহ-সাধারণ সম্পাদক- সাইদুর রহমান, আবুল মনসুর খান, মকবুল হোসেন ও মনির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ-শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক- আবুল বাশার, দপ্তর সম্পাদক- কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক- মঞ্জুর আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক- আব্দুস সাদিক, আপ্যায়ন সম্পাদক- মো. হাই মঞ্জু। নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- লাবলু আনসার, মোতাহার হোসেন, ইউসুফ হারুন চৌধুরী বোস্টন), আবু তাহের (ফিলাডেলফিয়া) এবং আবুল বাশার চুন্নু।
সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা হলেন: মুক্তিযোদ্ধা-বিজ্ঞানী নূরন্নবী, মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম (সাবেক এমপি), মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, কণ্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি বশীর আহমেদ, শহীদ পরিবারের সন্তান ডা. মাসুদুল হাসান এবং ফাহিম রেজা নূর, মূূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, ফার্মাসিস্ট জহিরুল ইসলাম ও আব্দুল আওয়াল সিদ্দিকী, সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ, সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ এবং সাপ্তাহিক বর্ণমালা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ছাড়াও নূরে আজম বাবু, আলী আহসান কিবরিয়া অনু, মোল্লা মাসুদ, সুলতানউদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাসান, খসরুল আলম, অ্যাডভোকেট আবু হোসেন হেলেন, শাহীন শেখ ও মো: ইলিয়ার রহমান।