পুরুষের চেয়ে নারীরাই প্রতারণা করে বেশি
১. বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে যে সব সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে দেখা যায় নারীদের নানা ভূমিকা। তারা কিভাবে সংসার সামলাচ্ছেন, কিভাবে অন্যের মনে আগুন লাগাচ্ছেন এমন নানা নেতিবাচক বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়। আর দর্শক নারীদের বিশাল অংশ এ থেকে নানা শিক্ষা পেয়ে থাকেন এবং তা নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
২. ইন্টারনেটে সোশাল মিডিয়া বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে ভুয়া নম্বর এবং নাম ব্যবহার করতে নারীরাই এগিয়ে। ভুয়া নাম-পরিচয়ে বন্ধুত্ব স্থাপনের বিষয়টি নারীরাই বেশি উপভোগ করেন। কাজেই তাদের মাঝে কৃত্রিমতা সৃষ্টির স্বভাব বিদ্যমান।
৩. পুরুষের দেহে নারীদের পারফিউমের গন্ধ পেলেই তিনি অপরাধী চিহ্নিত হয়ে যান। এ ক্ষেত্রে বাঁচার পথ সীমিত। কিন্তু নারীদের দেহে এমন গন্ধকে তারা সহজেই নানা প্রসাধনী সামগ্রির বাজে অবস্থা হিসেবে তুলে ধরতে পারেন। এ কাজটি করেও থাকেন তারা।
৪. নারীরা নিজেদের চেহারাকে নানা উপাদানে ভিন্নরূপ দিতে আগ্রহী ও সিদ্ধহস্ত। নানা রকম ক্রিম, লোশন বা মেকআপ দিয়ে নিজেকে ঢেকে ফেলার প্রবণতা নারীদের মাঝে সহজাত। কাজেই তারা কৃত্রিমতাই বিশ্বাসী।
৫. আবেগের নানা কারুকার্যে দারুণ পটিয়সী নারীরা। তারা সহজেই এর ব্যবহারে পুরুষদের পরাস্ত করতে পারেন। এর দ্বারাই তারা নিজেদের সমস্যাগুলো সামাল দিয়ে ফেলেন। আবার সঙ্গীর কোনো সন্দেহজনক আচরণ সহজেই ধরে ফেলেন।
৬. তারা বিস্তারিতভাবে জানার আগ্রহ রাখেন, কিন্তু দৃষ্টি দেন ছোটখাটো বিষয়ের দিকে। ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারে তারা অবৈধ কোনো কাজ করতে যান না। সঙ্গীর উপার্জন বেশি হলে দারুণ খুশি নারীরা। কিন্তু তার খরচ যদি বেশ হয়, তবে সেখানে আপত্তি তাদের। এর প্রতিটি অংশ জানতে চান নারীরা।
৭. প্রতারণার মতো কিছু করতে গেলে পুরুষদের মতো তারা অনলাইনে তা করতে আগ্রহী নন। কারণ নিজের তথ্য ফাঁসের বিষয়ে নারীরা অনেক বেশি সচেতন।