২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৬৯ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১১
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৬৯ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে আরও ১১ জনের। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ২৪৫ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫০ জনে। আর শনাক্ত রোগী সংখ্যা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৬০ জন।মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মহাখালী থেকে নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ছয় হাজার ৮৪৫টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ছয় হাজার ৭৭৩টি। মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক লাখ ৩৬ হাজার ৬৩৮টি।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ সাতজন, নারী চারজন। ঢাকায় পাঁচজন, নারায়ণগঞ্জে একজন, নরসিংদীতে একজন, চট্টগ্রাম বিভাগে দু’জন, সিলেট বিভাগে একজন রয়েছেন। বয়স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে তিন জন রয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৪৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ১৪৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৫২ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন দুই হাজার ৩৬১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন এক হাজার ৬৬৬ জন। অদ্যাবধি আইসোলেশনে এসেছেন দুই লাখ ২৫ হাজার ৮৪ জন।
তিনি বলেন, সারাদেশে ৬৪ জেলায় ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত। তৎক্ষণিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে সেবা দেওয়া যাবে ৩০ হাজার ৯৫৫ জনকে।
নাসিমা সুলতানা বলেন, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে আট হাজার ৬৩৪টি। ঢাকার ভেতরে আছে দুই হাজার ৯০০টি। ঢাকা সিটির বাইরে পাঁচ হাজার ৭৩৪টি শয্যা আছে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) আছে ৩২৯টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০২টি।