আম্পানের ছোবলে ১০ জনের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উপকূলীয় জেলায় শিশুসহ অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ও তিন জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২১ মে) অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর আঘাতে আহত ও নিহতদের প্রতিবেদন দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. আয়শার দেওয়া তথ্যমতে নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবী সৈয়দ শাহ আলম (৪৫), গলাচিপার পানপট্টির রাশেদ (৫), ভোলার চরকচ্ছারিয়ার মো. সিদ্দিক, রোবরহানউদ্দিনের রফিকুল ইসলাম (৩৫), পিরোজপুর মঠবাড়িয়ার দাউদখালি উপজেলার শাহাজান মোল্লা (৫৫), চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের ২ নং পৌরসভার সালাউদ্দিন (১৬)। এছাড়াও সাতক্ষীরার কমলনগরের একজনসহ অজ্ঞাত চারজন নিহত হয়েছেন।
তারা সবাই নৌকা ও ট্রলার ডুবি, গাছ ও দেয়াল চাপা পড়ে এবং পানিতে ডুবে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর। আর আহতদের মধ্যে রয়েছেন বরিশালের হিজলা, পটুয়াখালীর গলাচিপা ও ভোলার চরফ্যাশনের একজন করে। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্র জানিয়েছে, এখনও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তারা হাতে পাননি।
কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা একজন বৃহস্পতিবার (২১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বলেন, উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় প্রতিবেদন পাঠাতে পারছেন না। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার (২০ মে) উপকূলে আঘাত হানে। এর আগেই মহাবিপদ সংকেত জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়টি এখন দুর্বল হয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করছে। এর প্রভাবে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে।