ট্রাম্পের ভেটো অগ্রাহ্য করে সিনেটে প্রতিরক্ষা বিল পাস !
অবশেষে অনেক জল ঘোলা করে ট্রাম্পের ভেটো অগ্রাহ্য করেই মার্কিন সিনেটে পাশ হলো প্রতীক্ষিত প্রতিরক্ষা বিল! প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একটি প্রতিরক্ষা ব্যয় বিলে ‘ভিটো’ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই আপত্তি সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করেছে দেশটির কংগ্রেস। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিতে এই প্রথম এ ধরনের ঘটনা ঘটলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এর আগে নানা বিলে আরো আটবার ‘ভিটো’ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রত্যেকবারই তার ‘ভিটো’ টিকে যায়।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেট ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত। ৭৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের একটি প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার নতুন বছরের প্রথম দিনে সেনেটে বিরল এক অধিবেশন হয়।
সেখানে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট’ (এনডিএএ) নিয়ে ট্রাম্পের ‘ভিটো’ অগ্রাহ্য করে বিলটি ৮১-১৩ ভোটে অনুমোদন পায়। কোনো বিল নিয়ে প্রেসিডেন্টের ‘ভিটো’ অগ্রাহ্য করার জন্য বিলটিকে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উভয়কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে।
এনডিএএ আগেই ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে প্রেসিডেন্টের ‘ভিটোর’ বিরুদ্ধে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় অনুমোদন পেয়েছে বলে জানায় বিবিসি।
গত বুধবার ট্রাম্প ওই বিলে ‘ভিটো’ দিয়েছিলেন।
নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে হেরে গেছেন ট্রাম্প। তার প্রেসিডেন্সির মেয়াদ আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ। আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন, ওই দিনই ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
শুক্রবার সেনেটে প্রতিরক্ষা বিল নিয়ে বিতর্ক শুরুর আগেই সেনেট রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনল বলেন, তিনি ওই বিল পাস করাতে বদ্ধপরিকর
তিনি বলেন, ‘‘বার্ষিক প্রতিরক্ষা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদেরকে আমাদের ওইসব সাহসী নারী ও পুরুষদের সুরক্ষা দিতে হবে যারা ইউনিফর্ম পরে স্বেচ্ছায় আমাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সেনেটকে এখন এই বিষয়টির উপরই সবচেয়ে বেশি মনযোগ দিতে হবে।
‘‘আমরা টানা ৫৯ বছর এই আইন পাস করেছি। এবং এখন এভাবে হোক বা ওভাবে, আমরা ৬০তম বার্ষিক এনডিএএ সম্পন্ন করতে যাচ্ছি এবং আগামী রোববার কংগ্রেসের অধিবেশন বাতিল হওয়ার আগেই এটিকে আইনে পরিণত করতে যাচ্ছি।”
প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলসি বলেন, প্রেসিডেন্টের ওই ‘ভিটো’ বিস্ময়কর রকম বেপরোয়া আচরণ।
‘‘যেটা আমাদের সেনাবাহিনীর ক্ষতি করবে, আমাদের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিবে এবং এটা দ্বিপক্ষীয় কংগ্রেসের ইচ্ছাকে অবজ্ঞা করা সামিল।
‘‘আর এমন একটা সময়ে, যখন মাত্র আমাদের উপর সাইবার হামলা হয়েছে। এই সময়ে প্রেসিডেন্টের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের পেছনের কারণ বুঝে উঠতে পারা সত্যি খুব কঠিন।”