কি লাভ বাংলার মানুষের?
মুক্তিযুদ্ধে হতাহতের কয়টা ভিডিও প্রমান আছে? তাই বলে কি পাকিস্তানিরা আমাদের অত্যাচার করেনি? ওই গুলি কি তাহলে গুজব ছিল?
“না” গুজব ছিলনা, পাকিস্তানিরা বাংলার মানুষকে অত্যাচার করেছে, হত্যা করেছে, মা-বোনের ইজ্জত লুটেছে, এটাই সত্য, এটাই বাস্তবতা.
গত নয়টি বছর ধরে বাংলার মানুষের প্রতি স্টিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার শেখ হাসিনা সরকার. খুন, গুম, লুন্ঠন, ধর্ষণ সব কিছুই যেন তাদের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার! নিজের বাবা ৪৩ বছর আগে মারা গেছে অথচ সেই জন্য এখনও বাংলার মানুষকে জোর পূর্বক শোক পালন করানো হয়! কিন্তু সরকারের ব্যর্থতায় দুই দিন আগে কোন মা সন্তান হাড়া হলে; অপমৃত্যুর দায়ে সরকারকে দায়ী করে কথা বলতে পারবে না, কান্না করতে পারবে না, পারবেনা প্রতিবাদ করতে!
আজ বাংলার মাটিতে কোন কিছু ঘটলে ফলাফল যখন দখলদার সরকারের বিপক্ষে যায় তখনই তাকে গুজব, বিএনপি, জামাতের ষড়যন্ত্র আখ্যা দেওয়া হয় আবার নিজের পক্ষে গেলে অবৈধ কাজকেও বৈধতা দেয়া হয়!
গত কয়েকদিন যাবদ শিশু কিশোরদের যৌক্তিক আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখতেও কুখ্যাত ছাত্রলীগ, যুবলীগ ব্যবহার করে রক্তাক্ত করা হয়েছে বাংলার রাজপথ! অথচ এই শিশু কিশোরদের মিথ্যা ইতিহাস শিখাতে একজন স্বৈরাচার বাকশালের জনককে বানিয়েছে জাতির পিতা! সাধারণ মানুষের সম্পদ গণভবন দখল দেয়া হয়েছে মাত্র এক টাকার বিনিময়ে, বহুজাতিক পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় খরচ করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা. মজার বিষয় হলো এই পরিবারের কেও মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেননি এমনকি মুক্তিযুদ্ধ চোখেও দেখেন নি. তবে মুক্তিযুদ্ধকে পণ্য বানিয়ে ব্যবসা করেছেন বেশ!
আজ অবুজ শিশু কিশোরদের রক্তাক্ত করছে, বিরোধী রাজনীতিকদের হত্যা করছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করা হচ্ছে, গণতন্ত্র ধ্বংস করা হচ্ছে, স্বার্বভৌমত্ব অন্য দেশের কাছে জিম্মি করা হচ্ছে, কি আর বাকি আছে? এতো কিছুর পরেও দেশ নিয়ে যাদের সামান্য অনুভূতি নাই তাদের দিকে তাকিয়ে থেকে কি লাভ বাংলার মানুষের? বিদায় কেন করাচ্ছে না? কেন মানুষ ভয়ে কাতরাচ্ছে? ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথ দখলে নিলে জনবিচ্ছিন্ন দখলদার সরকারের পতন অবধারিত!