মানি রেমিটেন্স প্রতিষ্ঠান ‘ফামাক্যাশ’র আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু
রূপালী ব্যাংকের সাথে সিবিডব্লিউ ব্যাংকের চুক্তি স্বাক্ষর
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী মালিকানাধীন মানিট্রান্সমিটার প্রতিষ্ঠান ফামাক্যাশ-এর অর্থ বাংলাদেশে প্রেরণের জন্য রূপালী ব্যাংকের সাথে সিবিডব্লিউ ব্যাংকের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শনিবার (৪ আগষ্ঠ) দুপুরে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে রূপালী ব্যাংকের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আতাউর রহমান প্রধান ও সিবিডব্লিউ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সুচিত্রা পদভাবন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন ও ফামাক্যাশ-এর প্রতিষ্ঠাতা সিইও এবং চেয়ারম্যান ড. সাইফুল খন্দকার, বাংলাদেশ শাখার এমডি খাজা রেহান বখত সহ ফামাক্যাশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও শেয়ার হোল্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংক দুটি ও ফামাক্যাশের কর্মকর্তারা তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৈধভাবে রেমিটেন্স আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে রূপালী ব্যাংক ও সিবিডব্লিউ ব্যাংকের মধ্যকার চুক্তিকে ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বিশেষ করে সহজ পথে বৈধভাবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের রেমিটেন্স প্রেরণে প্রতিষ্ঠানগুলো অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে। বক্তারা ফামাক্যাশ-এর এই উদ্যোগের ভূয়শী প্রশংসা করেন। খবর ইউএনএ’র।
জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে আয়োজিত ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফামাক্যাশ-এর প্রতিষ্ঠাতা সিইও এবং চেয়ারম্যান ড. সাইফুল খন্দকার। এরপর রূপালী ব্যাংক ও সিবিডব্লিউ ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ফামাক্যাশ-এর অন্যতম পরিচালক হাসানুজ্জামান হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আতাউর রহমান প্রধান, সিবিডব্লিউ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সুচিত্রা পদভাবন সহ ফামাক্যাশ-এর উপদেষ্টা রব আয়ার্স, ড. রিচার্ড স্টুয়ার্ট, হোসাইন সিরাজী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মিডিয়ার সম্পাদক ও সাংবাদিক এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মঞ্জুর হোসেন তার বক্তব্যে রূপালী ব্যাংক ও সিবিডব্লিউ ব্যাংকের মধ্যকার চুক্তির ঘটনাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এরমধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের রেমিটেন্স প্রেরণে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। এজন্য তিনি ফামাক্যাশ-এর উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।
মোহাম্মদ আতাউর রহমান প্রধান ফামাক্যাশ-এর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, রূপালী ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম বিশ্বস্ত ব্যাংক। বিগত ৪৬ বছর ধরে ব্যাংকটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের মানুষের সেবায় আস্থার সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ব্যাংকটির ৫৬৫টি শাখা এবং ৫,১৫০ জনেরও অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। তিনি বলেন, এই শাখাগুলোর মাধ্যমে রূপালী ব্যাংক ফামাক্যাশ-এর গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাবে। প্রসঙ্গত তিনি বলেন, রূপালী ব্যাংক দেশবাসীর সেবার পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশীরও সেবায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য ব্যাংক থেকে লোন প্রদান সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রবাসীরা সেই সুযোগ পেতে শুরু করেছেন।
সুচিত্রা পদভাবন তার বক্তব্যে রূপালী ব্যাংক ও সিবিডব্লিউ ব্যাংকের মধ্যকার চুক্তির ফলে ফামাক্যাশ-এর গ্রাহকরা রেমিটেন্স প্রেরণে সর্বোচ্চ সেবা পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি দুই ব্যাংকের চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক ভিত্তিকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত এবং ঘটনাটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন।
ড. সাইফুল খন্দকার বলেন, ফামাক্যাশ বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর। সর্বাধুনিক ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে ফামাক্যাশ-এর সেবার পরিধি আস্তে আস্তে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, নব প্রতিষ্ঠিত ফামাক্যাশ ৪ আগষ্ট শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। গ্রাহকদের নিরাপত্তা, প্রতিশ্রুতি, রেমিটেন্স আদান-প্রদানে সহজীকরণ-এর লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির শ্লোগান হচ্ছে ‘দ্যা বেটার ওয়ে টু স্পেন্ড, সেন্ড এন্ড রিসিভড মানি’। অনলাইন এবং ডিজিটালী সেবার পাশাপাশি গিফট কার্ড, ক্যাশ, স্পট পেমেন্ট প্রভৃতিরও সুযোগ থাকবে ফামাক্যাশ-এ।