লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন জেনারেল সোলাইমানি
যুক্তরাষ্টের হামলায় নিহত ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল সোলাইমানি ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক স্পষ্ট কণ্ঠসর। লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর উপ-মহাসচিব শেইখ নায়িম কাসেম বলেছেন, ‘ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি কখনোই কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতেন না। ’
‘শহীদ সোলাইমানির শিক্ষা, আদর্শ এবং নব ইসলামি সভ্যতা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। হিজবুল্লাহর এই নেতা আরও বলেন, ‘২০০৬ সালে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ৩৩ দিনের যুদ্ধে জেনারেল সোলাইমানি হিজবুল্লাহকে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন। তিনি সে সময় লেবাননে উপস্থিত ছিলেন।
সে সময় কমান্ড সেন্টারে হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ ও হিজবুল্লাহর কমান্ডার ইমাদ মুগনিয়ার পাশে ছিলেন জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। ’
তিনি বলেন, ‘সিরিয়া ও ইরাকেও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সরাসরি ময়দানে অংশ নিয়েছেন শহীদ সোলাইমানি। ’
শেইখ নায়িম কাসেম আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগ্রামের নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল কাসেম সোলাইমানির। এর ফলে তিনি ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন।
তিনি সবসময় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াসহ প্রতিরোধ সংগ্রামের অন্যান্য নেতার পাশে থেকেছেন। ’
২০০৬ সালে ৩৩ দিনের যুদ্ধের দখলদার ইসরায়েলকে পরাজিত করতে সক্ষম হয় লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ।