রাজশাহীতে ইনডোরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের অনুমতি
ইনডোরে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি একেবারেই মধ্য শহরের রাস্তায় সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু এসব এলাকায় সমাবেশ করলে মানুষের চলাচল বাধাগ্রস্ত হবে। তীব্র যানজট দেখা দিবে। এ জন্য মধ্যশহরে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা বলেছি- ইনডোরে সমাবেশ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দান সংলগ্ন নাইস কনভেনশন সেন্টারে বিএনপিকে সমাবেশ করতে বলা হয়েছে। তারা যেন প্রস্তুতি নিতে পারে সে জন্য মৌখিকভাবে আগাম তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন চিঠি ইস্যু হচ্ছে। সন্ধ্যার মধ্যে তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।’
[content-egg module=AE__amazoncom]
ইনডোরে সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘আমরা শহরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, মনিচত্বর, সোনাদীঘি বা গণকপাড়া এলাকায় সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম। কোথায় অনুমতি দেওয়া হচ্ছে সেই চিঠি এখনও পাইনি। চিঠি পাওয়ার পর আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
মঙ্গলবার বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশ ঘিরে ‘হামলার আশঙ্কায়’ রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আকস্মিক বাস বন্ধ করে দেয়ায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। রাজশাহীর পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক নেতাদের দাবি, বাস চলাচল করলে হামলার আশঙ্কা আছে। তাই শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তারা বাস চলাচল আপাতত বন্ধ করে দিয়েছেন। পরিস্থিতি বুঝে পরে তারা আবারও বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে বাস বন্ধ অযৌক্তিক বলছেন যাত্রীরা।
এদিকে বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, সমাবেশ পণ্ড করতে বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সকাল থেকে হঠাৎ রাজশাহী থেকে দেশের সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সমাবেশের আগে এর আগেও এ রকম করা হয়েছে। এর কারণ বিভাগীয় সমাবেশে যেন মানুষ না আসতে পারে। এটি বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ নস্যাৎ করার অপচেষ্টা। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।