‘জিয়াউর রহমানকে প্রমাণ করতে হবে তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা’
পিবিসি নিউজঃ আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে প্রমাণ করতে হবে তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। কারণ তাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করতে দেখা যায়নি। সে কারণে তাকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বলা সঠিক হবে কিনা সেটা মনে হয় বিতর্কযোগ্য। কারণ হচ্ছে, ভারতে যাওয়া ছাড়া, জেডফোর্স নামের একটা ভুয়া বাহিনী ছাড়া তার কর্মকাণ্ডে আমরা কখনও দেখিনি যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করেছিলেন।
রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আইন অনুষদের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার: আইনি পর্যালোচনা’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে দুঃখের সাথে বলতে হয়, একটি বিজ্ঞপ্তি পড়ছিলাম, এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জিয়াউর রহমান কালুরঘাটে প্রতিরোধ যদি গড়ে না তুলতো তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। কালুরঘাটের প্রতিরোধের পরে ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছিল নাকি সৈন্যরা করেছিল সেটা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা থাকতে পারে। কথা হচ্ছে কালুরঘাটের সেই প্রতিরোধের পরেও কিন্তু ৯ মাস যুদ্ধ চলেছিল।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াও খুনীদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছেন, আর এরশাদ খুনীদের রাজনৈতিক দল গঠন করার সুযোগ দিয়েছেন। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় অবশেষে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। দীর্ঘদিন এই দেশের মানুষ কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে পারেনি, কারণ এই দেশে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডেরই বিচার হয়নি। কিন্তু এখন এই দেশের মানুষ যে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে পারবে এবং বিশ্বাস রাখতে পারবে একদিন তারা বিচার পাবেই।
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার, চার নেতার হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ গণহত্যার বিচারের ব্যবস্থা করেছেন এবং অর্থনৈতিকভাবেও বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। এখন তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখা। এর জন্য তরুণদের বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করতে হবে, ইতিহাস জানতে হবে। আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনও বন্ধ হয়নি, তাই আপনাদের শিক্ষিত হতে হবে, জনগণের পাশে থাকতে হবে জনগণের সাথে থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবের সভাপতিত্বে এবং আইন অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বশেমুরবিপ্রবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা সংযুক্ত ছিলেন।