নতুন নীতিমালা অনুযায়ী পুলিশে নিয়োগ যেভাবে
পিবিসি নিউজঃ বাংলাদেশ পুলিশে তিন হাজার কনস্টেবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। বহুদিন ধরে চলে আসা নিয়োগের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনে এ বছর নতুন নীতিমালায় পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
শুক্রবার থেকে অনলাইনে এই আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত। পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের যেসব অভিযোগ বিভিন্ন সময় উঠেছে, তা ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে নতুন নীতিমালায়। কিন্তু পুলিশের নিয়োগ নিয়ে যেসব অনিয়মের অভিযোগ বিভিন্ন সময় ওঠে, তা কী ঠেকাতে পারবে এই নতুন নীতিমালা?
নতুন নীতিমালায় কী বলা হয়েছে?
এতদিন ধরে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ প্রক্রিয়া পুলিশ রেগুলেশন ১৯৪৩ অনুযায়ী করা হয়েছে। কিন্তু গত বছর থেকে ওই নিয়মকানুন আধুনিক করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সেখানে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল, উপ-পরিদর্শক (এসআই), সার্জেন্ট ও এএসপি নিয়োগের নীতিমালায় কিছু সংশোধন আনা হয়েছে।
নতুন নীতিমালা প্রসঙ্গে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইপিজি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পুলিশের নিয়োগ স্বচ্ছতার বিকল্প নেই। সামনে পুলিশের যেসব নিয়োগ হবে, সেগুলো অতীতের তুলনায় কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। পুলিশে সদস্যদের নিয়োগগুলো পুলিশ সদর দফতর নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং করবে।
যেমন এতদিন যাবত কনস্টেবল, এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর নির্ধারিত তারিখে সবাই সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ লাইনে হাজির হয়ে শারীরিক পরীক্ষা দিতেন। সেখানে উত্তীর্ণ হলে তাদের লিখিত পরীক্ষার জন্য ডাকা হতো। কিন্তু নতুন নীতিমালা অনুসারে, তাদের আগে উচ্চতা, শারীরিক বর্ণনা ও যোগ্যতার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সেই সময় শুধুমাত্র টেলিটক ব্যবহার করে ৩০ টাকা ফি জমা দিতে হবে। সেখানে যাচাই বাছাই শেষে যারা নিয়োগের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন, তাদেরকেই শুধুমাত্র শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষার জন্য মোবাইল নম্বরে এসএমএস করা হবে।